19.5 C
New York
spot_img
Home Blog

মা দিবসে জলকন্যার যৌথ চিত্র প্রদর্শনী ‘পাহাড় ও পাহাড়ের জীবন’

মা দিবস উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী ‘পাহাড় ও পাহাড়ের জীবন’ শীর্ষক যৌথ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জলকন্যা। জলকন্যা নারীদের একটি সংগঠন। এখানে নারীরা জলের সহযোগিতায় যেসব রং ব্যবহার করা হয়, সেসব রঙের মাধ্যমে ছবি আঁকেন। তাই এর নাম জল+কন্যা=জলকন্যা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও যারা ছবি আঁকেন, সেসব শিল্পীরাই প্রধান্য পেয়ে থাকেন এই আয়োজনে। পাহাড় ও পাহাড়ের জীবন জলকন্যার নবম প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীতে জলরঙের পাশাপাশি অ্যাক্রিলিক ও মিশ্র মাধ্যমের কাজ স্থান পেয়েছে।

১১ মে, ২০২৫, রোববার বিকালে ধানমন্ডির সফিউদ্দীন শিল্পালয়ে প্রদর্শনীর উব্দোধন করেন চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের সুপার নিউমারী অধ্যাপক ফরিদা জামান এবং অভিনয়শিল্পী চিত্রলেখা গুহ। জলকন্যার ১২ জন শিল্পীর ৩৩টি শিল্পকর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনী। এই আয়োজনে কিউরেশনে সহযোগিতা করেছেন শিল্পী অশোক কর্মকার এবং প্রদর্শনীর টাইটেল স্পনসর দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসি।

সূচনা অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথমে মা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দ্বিতীয়ত প্রধান অতিথিদের কথা এবং তৃতীয়ত প্রদ্বীপ প্রজ্বলন। মায়েদের স্মরণে এবং সম্মানে কবিতা পাঠ ও দেশাত্ববোধক গান ও পাহাড়ি গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। কবিতা পাঠ করেন মাহী ফারহানা ও নিশাত জেসমিন এবং দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন স্বপ্না বার্ণাডেট ফ্রান্সিস এবং মাহবুবা সুলতানা এবং পাহাড়ী গান পরিবেশন করেন এলিনা চাকমা।

চিত্রলেখা গুহ বলেন, আমি ছিলাম আমার মায়ের মেয়ে এবং বিয়ের পর মা। একজন অভিনয়শিল্পী হয়ে কাজ করার সময় মায়ের দায়িত্ব পালন করা অনেক কষ্টের। অসুস্থ সন্তান গ্রীন রুমে রেখেও স্টেজে অভিনয় করতে হয়েছে। এবং তা পরিপূর্ণভাবেই করতে হয়েছে। কেউ বুঝতেই পারেনি আমার সন্তান অসুস্থ্য। সন্তান লালন–পালনে মায়েদের ভূমিকাই প্রধান বলে তিনি মনে করেন।

অধ্যাপক ফরিদা জামান বলেন, মা হিসেবে আমাদের অনেক কঠিন জায়গা থেকে আগাতে হয়। আমি শিল্পী হওয়ার বাসনা নিয়ে পড়াশোনা করি নি। কিন্তু চিত্রশিল্পী হয়েই ক্যারিয়ার গড়েছি। সন্তানদের নিজ হাতে আগলে রেখেছি। কর্মব্যস্ত মায়েদের জীবন–সংগ্রাম নিয়ে তিনি তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও উপস্থাপনা করেন জলকন্যার প্রতিষ্ঠাতা সুপর্ণা এলিস গমেজ।

প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিল্পীরা হলেন সুপর্ণা এলিস গমেজ, আজাদী পারভীন, সাবিয়া নাসরিন, এলিনা চাকমা, তেরেজা ঈশা গমেজ, ফ্লোরা উর্মিলা রড্রিক, জ্যাকলিন রিয়া রোজারিও, মালেকা সুলতানা নূপুর, শামা সায়োম, মাহী ফারহানা, অপর্ণা তরপদার মৌ এবং সারিয়া মেহসা।

ই-ক্যাব নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করলো ‘টিম ইউনাইটেড’

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১ সদস্যের শক্তিশালী প্যানেল ঘোষণা করেছে ‘টিম ইউনাইটেড’। শুক্রবার (৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

‘টিম ইউনাইটেড’ প্যানেলের সদস্যরা হচ্ছেন এজিউর কুইজিনের মোছা. জান্নাতুল হক শাপলা, ডায়াবেটিস স্টোর লিমিটেডের মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, পার্পেল আইটি লিমিটেডের ছালেহ আহমদ, নিজল ক্রিয়েটিভের আবু সুফিয়ান নিলাভ ভূইয়া, বিক্রয় বাজার ডটকমের এস এম নুরুন নবী, ক্লিন ফোর্স লিমিটেডের মো. তাসদীখ হাবীব, ক্ষেত খামারের মো. নুর ইসলাম বাবু, নওরিনস মিররের হোসনেআরা নূরী, ওয়ান মল লিমিটেডের সাইফুর রহমান, এক্সপ্রেস ইন টাউন লিমিটেডের সৈয়দ উছ‌ওয়াত ইমাম এবং ইনছেপশণ টেকনোলজিস লিমিটেডের মোহাম্মদ এমরান।

প্যানেল প্রসঙ্গে মোছা. জান্নাতুল হক শাপলা বলেন, বাংলাদেশের স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছে। এই পরিবর্তনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে টিম ইউনাইটেড একটি বাস্তবভিত্তিক, প্রযুক্তিসম্পন্ন ও টেকসই পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচন করছে। এই প্যানেল উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি সম্মিলিত কণ্ঠস্বর গঠনে বিশ্বাসী। আমরা একটি শক্তিশালী, দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল টিম হিসেবে ই-ক্যাবকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, টিম ইউনাইটেডের মূল লক্ষ্য হলো—উদ্যোক্তা-পরিবেশ সহজ ও সহানুভূতিশীল করা, প্রযুক্তি ও নীতিগত উদ্যোগ গ্রহণ, উদ্যোক্তাদের অধিকার রক্ষা এবং নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া।

উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ৫০২ জন ভোটার ১১টি পরিচালকের পদে ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

ই-কমার্সে আস্থা ফেরাতে চান জান্নাতুল হক শাপলা

দেশের ই-কমার্স খাতের প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন ই-ক্যাব ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালক পদপ্রার্থী ও এজিউর কুইজিনের প্রধান নির্বাহী জান্নাতুল হক শাপলা। বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় গুলশানের লেকশোর হোটেলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই ই-কমার্সে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এতদিন সামনে আসার সুযোগ হয়নি, এবার সে সুযোগ এসেছে। আমি চাই সকল উদ্যোক্তা যেন নিশ্চিন্তে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে, গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি ই-কমার্সের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং হয়।

নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি শৈলীর ছোঁয়া ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১০০ নারী উদ্যোক্তাকে ছোট পরিসরে বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা নিজেরাই ই-কমার্স ও এফ-কমার্সে দক্ষ হয়ে উঠে। ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করে আন্তর্জাতিক বাজারেও নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চাই।

জান্নাতুল হক শাপলা বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে যেসব অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে— উদ্যোক্তাদের নিরাপদভাবে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করা, গ্রাহক আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখা, লজিস্টিকস ও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম আধুনিকায়ন, সদস্যদের মানোন্নয়ন ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন, স্মার্টআপদের জন্য তহবিল গঠন এবং সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ই-কমার্সবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন।

তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় ই-কমার্স খাতকে একটি স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য ও উন্নয়নমুখী সেক্টরে পরিণত করতে চাই। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু নিতে আসিনি, বরং দিতে এসেছি। আমি যদি বিজয়ী হই, তবে এই বিজয় হবে ই-কমার্স খাতের বিজয়।

উল্লেখ্য, ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হবে। পরিচালকের ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ জন প্রার্থী।

ক্রিকেক্সের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তানজিয়া জামান মিথিলা

এশিয়াজুড়ে জনপ্রিয় অনলাইন স্পোর্টস ও গেমিং প্ল্যাটফর্ম ক্রিকেক্স তাদের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী ও দেশের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলাকে ঘোষণা করেছে। রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চুক্তির মাধ্যমে ক্রিকেক্স তার মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ মানের অভিজ্ঞতা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। তানজিয়া মিথিলার যোগদানে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত হতে চায় তারা।

তানজিয়ার ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা ১৮ লক্ষাধিক, যা তার আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তাকেই প্রমাণ করে। ফলে তার যুক্ত হওয়ায় ক্রিকেক্সের গ্রহণযোগ্যতা ও পরিসর আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ক্রিকেক্সের মুখপাত্র বলেন, আমরা তানজিয়া জামান মিথিলাকে স্বাগত জানাতে পেরে রোমাঞ্চিত। তার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব আমাদের প্ল্যাটফর্মের গতিশীলতার সঙ্গে দারুণভাবে মানানসই। তানজিয়া মিথিলা ক্রিকেক্সের (crickex.news) বিভিন্ন অনলাইন গেমিং ও স্পোর্টস মার্কেটিং কার্যক্রমে যুক্ত হবেন এবং তার অভিজ্ঞতা ও গ্ল্যামারের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটির প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করবেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত এই তারকার উপস্থিতি ক্রিকেক্সের ফ্যান বেস শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

এছাড়াও, তার ইতিবাচক মনোভাব ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব বর্তমান ব্যবহারকারীদেরও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত রাখতে অনুপ্রাণিত করবে।

Tangia Zaman Methila New Brand Ambassador of Crickex

Crickex, one of Asia’s most renowned online sports news platforms, has electrified the community by announcing Tangia Zaman Methila as its new brand ambassador. A beauty pageant award winner, Methila is a celebrated model and actress in Bangladesh. Crickex said in a press release on Sunday.

According to the press release, this exciting alliance signals Crickex’s constant dedication to delivering a top-notch experience to its mobile app and website users. With Tangia on board, the Crickex.news online sports platform aims to have a deeper connection with its Bangladeshi users and bring them a fresh wave of energy and excitement.

Tangia has over 1.8 million followers on Instagram and have fans from across the globe. Her association with the Crickex online sports app is likely to expand the platform’s reach and visibility.

‘We’re thrilled to welcome Tangia Zaman Methia! Her vibrant personality perfectly mirrors the energy we strive to offer to our users”, says the spokesperson of Crickex.

Tangia Zaman Methila will be diving into Crickex’s wide array of online sports entertainment markets, sharing her insights and adding a touch of glamour to the platform’s promotional activities.

She is a face known at the local and international levels. Her association with Crickex will help the platform to have a better fan base. On the other hand, her positive outlook and magnetic personality will encourage Crickex’s existing users to stay committed to the platform.

ঢাকায় পরিবহন সেক্টরে বিশৃঙ্খলা করছে এনায়েত উল্যাহ খন্দকারের সঙ্গীরা

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকায় যাত্রী পরিবহনে বিভিন্ন বাস কোম্পানির মালিকদের দাবি ছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এনায়েত উল্যাহ খন্দকারের সহচর ও আর্শীবাদপুষ্ট আওয়ামী দালালদের হাত থেকে সাধারণ বাস মালিকদের পরিবহন সেক্টরের নানা অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির হাত থেকে মুক্ত করা। বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও চাঁদাবাজ পরিবহন নেতারা ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর কিছু দিন নীরবে থাকার পর বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আবারও ফিরে আসছে।

সম্প্রতি ঢাকার বসুমতী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের এনায়েত উল্যাহ খন্দকারের সকল অপকর্মের সঙ্গী ও আর্শীবাদপুষ্ট প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল মুনসুর বুলবুল এবং কোম্পানিটির পরিচালনা কমিটির অন্যান্য পরিচালক সৈয়দ কামরুল হক দুলাল ও আল আমিন নূরুন নবী সবুজ এবং অন্য সদস্য জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আকবর আহম্মেদদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮ মার্চ ২০২৫ বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে তারা নিজ মুখে অপকটে স্বীকার করে আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘ সময় ধরে এই চক্রটি ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এবং বসুমতী কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিল। এখন নতুন রূপে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে সাধারণ মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে এবং চাঁদাবাজি ও ফ্যাসিজম আবারও প্রতিষ্ঠা করেছে।

সাধারণ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ে ঢাকা সড়ক পরিবহনের ত্রাস ও কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এনায়েত উল্যাহ খন্দকারের ব্যাপক দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অপরাধের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল মুনসুর বুলবুল এবং কোম্পানিটির পরিচালনা কমিটির অন্যান্য পরিচালক সৈয়দ কামরুল হক দুলাল ও আল আমিন নূরুন নবী সবুজ। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে রুট পরিচালনার দায়িত্ব থাকে বর্তমান পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা সাধারণ মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী আমলের এনায়েত উল্ল্যাহ নির্দেশে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে গাড়ি জব্দ করে অনেক মালিকদের জোর করে নিয়ে যেত। সাধারণ মালিকরা বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে সেসময়ে বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে তাদের ভয়ভীতি ও মামলা করার হুমকি দিয়ে আসছে।

ছাত্র জনতার জুলাই গণ জাগরণের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী, অস্ত্র –অর্থের যোগানদাতা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পরিবহন খাতের ত্রাস এনায়েত উল্লাহ হয়ে কাজ করা বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী থানায় ছাত্রদের ওপর হামলা ও হত্যা মামলা থাকা স্বত্বতেও টাকার বিনিময়ে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় আরও আওয়ামী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলেছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ও বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য সবার সহযোগিতা দাবি জানিয়েছেন পরিবহনের সাধারণ মালিকরা।

বৈষ্যমহীন নতুন বাংলাদেশে সাধারণ মালিকদের প্রত্যাশা ছিল ঢাকায় সড়কে সুশৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং ওয়েবিলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর কিছুদিন ওয়েবিলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ থাকার পর পরিবহন কোম্পানি ব্যয় পরিচালনার নামে আবারও ওয়েবিল চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাদের সঙ্গে আতাত করে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা শুরু করেছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের নিরব ভূমিকার সুযোগ নিয়ে রুট পারমীটহীন অথবা ভিন্ন রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচলের সুবিধা দেওয়া ও ফিটনেসবিহীন বাস ঢাকায় চলাচল করছে যার ফলে সাধারণ মালিকরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন।

বসুমতী ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজমেন্ট কমিটি সম্প্রতি বসুমতীর রুট পারমিটহীন ১৪টি মিনিবাস গড়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা গ্রহণ করে বসুমতী ব্যানারে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে । এর ফলে রুট পারমিট প্রাপ্ত বসুমতী মালিকরা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মালিকদের চাপে মুখে মিটিংয়ে আইন আমান্য করে রুট পারমিটহীন বাস বসুমতী পরিবহনে ব্যানারে নামানোর ঘটনা নিজ মুখে ভুল স্বীকার করেন বর্তমান অর্থ লুটপাটকারী আওয়ামী আমলের এনায়েত উল্লাহ খন্দকারের আর্শীবাদপুষ্ট প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল মুনসুর বুলবুল এবং কোম্পানিটির পরিচালনা কমিটির অন্যান্য পরিচালক সৈয়দ কামরুল হক দুলাল ও আল আমিন নূরুন নবী সবুজ এবং অন্য সদস্য জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আকবর আহম্মেদসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য এর আগে রুট পারমিটহীন গাড়ি নামানোর বিষয়ে সাধারণ মালিকদের সঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা বা মিটিং ছাড়াই এ সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান ম্যানেজমেন্ট কমিটি। বসুমতী কোম্পানির মালিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা গ্রুপে এডমিন প্যানেল থেকে রিপ্লাই দেওয়ার অপশন বন্ধ করে, মালিকদের ফোন করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এছাড়াও আরও ১০টি রুট পারমিটবিহীন মিনিবাস ঢুকানোর চেষ্টা করছে। এর ফলে সড়কে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির পাশাপাশি আইন অমান্য ঘটনা ঘটছে, পাশাপাশি বসুমতী মিনিবাসের মালিকরাও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সাধারণ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায় এনায়েত উল্লাহর আর্শীবাদপুষ্ট বসুমতি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল মুনসুর বুলবুলের বিরুদ্ধে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি ও বসুমতী কোম্পানির টাকা লুটপাট ও দূর্নীতির কারণে ২০২১ সালে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বসুমতীর রুট পরিচালনার দায়িত্ব দেন এনায়েত উল্লাহর ভাই মো. মনিরকে। সেসময়ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির দুই পরিচালক সৈয়দ কামরুল হক দুলাল ও আল আমিন নূরুন নবী সবুজ কোম্পানির চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাগহ ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরের আস্থাভাজন হিসেবে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল প্রকার কুকর্ম ও চাঁদাবাজি করেছেন। ৫ আগস্টের পর কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর স্থানীয় রাজনৈতিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অর্থ দিয়ে দলের অঙ্গসংগঠন সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আবারও কোম্পানি পরিচালক হিসেবে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও লুটপাট করছেন। তাদের এই অপকর্মের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবারও ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আওয়ামীলীগের আর্শীবাদপুষ্ট কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল মুনসুর বুলবুল যুক্ত হয়েছেন।

কোম্পানিটির এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সাধারণ মালিকরা অভিযোগপত্র নিয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে গেলে, তারা তা গ্রহণ না করে ফ্যাসিজমের দোসরদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের কথা বলেন। অভিযোগপত্রটি মামলা হিসেবে না নিয়ে, আইনের বিধান অমান্য করে অভিযোগপত্রের স্বাক্ষরকারী সাধারণ মালিকদের নামের তালিকাটি বর্তমান কমিটির কাছে দেন, যা সাধারণ মালিকদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তালিকা ধরে বর্তমান কমিটি সাধারণ মালিকদের নানা রকম মামলা ও হামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন।

বিসিসির মনিরুল ও জাকিরের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সচিব মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চু ও ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পতিত সরকারের আমল হতে বিসিসির প্রশাসন শাখায় পোস্টিংয়ের পর থেকে সচিব মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চু ও মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম নিজেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী পরিচয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর বিভিন্ন অবৈধ এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়জিত রয়েছে। সরকারের পরিবর্তনের পরে সম্পূর্ণ ভোল পাল্টিয়ে মনিরুল নিজেকে এখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিসিসির অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মনিরুল তার বিভিন্ন ব্যক্তিগত এজেন্ডা ও ক্ষোভ সচিব মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চুর সহায়তায় তার যোগসাজশে বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে বিসিসির কর্মকর্তাগণ মনিরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণসহ বিসিসির নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান বরাবর উপস্থাপন করলেও কোন এক অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিসিসির সমস্ত পর্যায়ের কর্মকর্তা যেন মনিরুলের শক্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার কাছে অসহায়।

বিসিসির সর্বশেষ প্রথম শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষায় লিয়াজো অফিসার (আইটিইই) পদে বিসিসির প্রশাসন শাখার আরেক কর্মকর্তা মোঃ জুলইয়া দাইনের অবৈধ (গোপনে বিবাহিত) দ্বিতীয় স্ত্রী আইসিটি ডিভিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা-৩ শাখা) ইসরাত অনামিকাকে নিয়োগ দানের জন্য বিসিসির সচিব মোঃ জাকির হোসেন বাচ্চুর মাধ্যমে মনিরুল ও মোঃ জুলইয়া দাইন পরস্পর যোগসাজশে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় ইসরাত অনামিকাকে (প্রবেশপত্রের ক্রমিক নং – LO-055) প্রথম বানায়। বিষয়টি বিসিসির অন্যান্য সৎ কর্মকর্তারা জানতে পারলে, কর্মকর্তাগণ বিসিসির নির্বাহী পরিচালক বরাবর সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ করেন। মনিরুল ও জুলইয়া দায়েন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্বীকার করে নেন এবং মনিরুল সর্বসম্মুখে জানান, তার প্ররোচনায় ও সাহায্যে জুলইয়া দায়েন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাটির প্রশ্ন ফাঁস করেছে। এরপরও নির্বাহী পরিচালক ড. মেহেদী কোন এক অজানা কারণে মনিরুল ও জুলইয়া দায়েনের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিয়ে ইসরাত অনামিকাকে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন। বিসিসিতে নিয়মিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ব্যবহারিক ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এইসব পরীক্ষায় সচিব জাকির হোসেন বাচ্চু, মনিরুল, জুলইয়া দায়েন ও বিসিসির আরেক কর্মকর্তা মধুসূদন চন্দের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের করে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নাই।

মনিরুল প্রশাসন শাখায় কর্মরত থেকে প্রভাব খাটিয়ে অন্যান্য যোগ্য কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে বিসিসির জাতীয় ডাটা সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল পদ ম্যানেজার (অপারেশন) পদে পদোন্নতি ভাগিয়ে নেন। কিন্তু নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখতে জাতীয় ডাটা সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যোগদান না করে প্রশাসন শাখায় থাকার জন্য নিম্ন গ্রেডের পদ ডেপুটি ম্যানেজার (মানব সম্পদ) পদে সচিব জাকির হোসেন বাচ্চু ও নির্বাহী পরিচালক ড. মেহেদী কে ম্যানেজ করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রশাসন শাখায় কাজ করে স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়ে (সে নিজে যেহেতু প্রকৌশলী নয়), বিসিসির জুনিয়র ৩২ জন প্রকৌশলী কর্মকর্তাদেরকে সরকারি নিয়মানুযায়ী একটি অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধি করতে অন্যয্যা ও বৈষম্যমূলকভাবে গড়িমসি করার অভিযোগ রয়েছে। এই নিয়ে বিসিসির জুনিয়র প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের মধ্যে বিস্তর ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ করেও তারা কোন সুরহা পায়নি। তাছাড়াও বিসিসির অন্য একজন কর্মকর্তা (মনিরুলের সমগ্রেডের) চাকরিকাল গণনা নিয়েও অন্যয্যাভাবে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত কর্মকর্তার নিকট সকল প্রকার আইনগত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট থাকার পরও মনিরুল তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে জানা যায়। মনিরুলের প্রভাবের কারণে উক্ত কর্মকর্তা সচিব জাকির হোসেন বাচ্চুর সাথে এই বিষয়ে কথা বলারও সুযোগ পান নাই ও সচিব তাকে সরাসরি জানিয়ে দেন, মনিরুলের সাথে কথা বলতে। বাচ্চু – মনিরুলের কাছে যেন পুরা বিসিসি জিম্মি ও অসহায়। বিসিসির ৩ জন পরিচালক সরাসরি তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে নির্বাহী পরিচালক ড. মেহেদী বরাবর অভিযোগ করেছেন। কিন্তু নির্বাহী পরিচালক বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলেও কোন এক অজানা কারণে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নাই।

বিসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনা ও বরিশালে আঞ্চলিক পরিচালক হিসাবে দায়িত্বপালনকালে মনিরুলের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে বিসিসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবকে বড় অংকের ঘুষ প্রদান করে বরিশাল হতে বিসিসির প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসন শাখায় পোস্টিংয়ের মাধ্যমে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের আস্তাভাজন হয়ে উঠেন। তার মাধ্যমে বরিশাল ও খুলনার দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে সক্ষম হন। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য থাকার সময় বিভিন্ন আইসিটি বিষয়ক টেন্ডারে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার গুরুতর অভিযোগ মনিরুলের বিরুদ্ধে রয়েছে। কারিগরি জ্ঞান শূন্যের কোটায় হলেও প্রশাসন শাখায় দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে বিভিন্ন সরকারী সংস্থার লাভজনক কম্পিউটার বিষয়ক টেন্ডারের কমিটিতে নিজের নামে মনোনয়ন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিসিসির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ মনিরুল ও জাকির হোসেন বাচ্চুর দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষোভে ফুঁসছে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক যেন অসহায়।

বিমান বাংলাদেশের অনলাইন টিকিট কেনা সহজ করলো এসএসএলকমার্জ

অনলাইনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট কেনা আরও সহজ করলো এসএসএলকমার্জ। দেশের শীর্ষ এই পেমেন্ট গেটওয়ের ৩৬টিরও বেশি পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে এখন পেমেন্ট প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও গ্রাহক-বান্ধব হয়ে উঠেছে। এতে গ্রাহকদের জন্য অনলাইনে টিকিট কেনা সহজ এবং দ্রুত হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ চুক্তি হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই পার্টনারশিপ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাহক ভিত্তি ও প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক, অর্থ (উপ-সচিব) মো. নওশাদ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (রাজস্ব ও এফএমআইএস) আবু সাইদ মো. মঞ্জুর ইমাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক (রাজস্ব হিসাব) মো. রাশেদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) সাজ্জাদুল ইসলাম নাসির, জুনিয়র হিসাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম।

এছাড়া এসএসএলকমার্জের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রায়ান এস. ইসলাম, এনগেজ ৩৬০-এর সিইও অনিরুদ্ধ দেব এবং এসএসএলকমার্জের সিনিয়র ম্যানেজার ও এসএসএলকমার্জ ই-কমার্স সার্ভিসের প্রধান মো. সাগীর আহমেদ রবিন।

অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মো. নওশাদ হোসেন বলেন, এসএসএলকমার্জের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে পেমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক উন্নত করেছি এবং নিরাপদ পেমেন্ট সেবা প্রদান করেছি। তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনগেজ ৩৬০-এর সহযোগিতায় আমাদের ব্র্যান্ড ও গ্রাহক সেবা আরও শক্তিশালী হবে।

এসএসএলকমার্জের সিইও রায়ান এস. ইসলাম বলেন, বিমানকে গ্রাহকদের আরও কাছে নিয়ে আসতে এবং লেনদেন প্রক্রিয়া সহজ করতে আমাদের যৌথ সলিউশন কাজ করেছে।

এনগেজ ৩৬০ সিইও অনিরুদ্ধ দেব বলেন, নতুন মার্কেটিং পন্থায় বিমানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়িয়ে তা শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

সাকিবের খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার

উত্তরা পূর্ব থানা গোল চত্বর থেকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যা থেকে মো. সাকিব হোসেনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সাকিবের সন্ধান পেতে তার ছোট ভাই আল-আমিন উত্তরা পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। জিডি নাম্বার- ১২৭৫।

মো. সাকিব হোসেনের বাবা আনারুল প্রামাণিক ও মাতা বেদেনা খাতুন ছেলের সন্ধান না পেয়ে পাগল প্রায়।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, সেক্টর-৪, উত্তরা পূর্ব থেকে সে হারিয়ে যায়। তার গায়ের রং ফর্সা, উচ্চতা-৫ ফিট ৭ ইঞ্চি, টি-শার্ট ও প্যান্ট পরিহিত ছিল। ছোট ভাই আল-আমিন বলেন, আমরা বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাইনি।

কেউ মো. সাকিব হোসেনের সন্ধান পেলে ০১৭১৪-৮৯১৬০৭ নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছেন।

২০২৪ সালে ২৩টি টার্নকি প্রকল্পে আলাপালার নতুন মাইলফলক

শস্য, ফিড ও পাস্তা প্রক্রিয়াকরণের প্রযুক্তিতে বিশেষায়িত শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল গ্রুপ আলাপালা ২০২৪ সালেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালে আলাপালা ৫টি মহাদেশের ১৪টি দেশে ২৩টি টার্নকি প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের ব্যাপ্তি আরও প্রসারিত করতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এই খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার কারণে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।

উৎকর্ষ সাধনের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, আলাপালা ১২৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩৮টি চলমান প্রকল্পের একটি পোর্টফোলিও ঘোষণা করেছে। এই শক্তিশালী পাইপলাইন বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টদের জন্য উদ্ভাবনী ও অত্যাধুনিক সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, আলাপালার উদ্ভাবনী পদ্ধতি ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই খাতে নতুন মানদণ্ড তৈরি করে আসছে। প্রতিষ্ঠার ৭০তম বছরে মান বজায় রাখার মাধ্যমে এই খাতের সকল অংশীজনদের জন্য নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করে যাচ্ছে আলাপালা।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও গোরকেম আলাপালা নিজেদের সাফল্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর জোর দিয়ে বলেন, গত বছর আমরা ৫টি মহাদেশ জুড়ে ২৩টি টার্নকি প্রকল্প সম্পন্ন করেছি; আলাপালার প্রতি আমাদের গ্রাহকদের আস্থার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আমরা কেবল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিই নয়; বরং টেকসই ও দক্ষ সমাধান প্রদান করার মাধ্যমে এই খাতের জন্য নতুন মান নির্ধারণ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। আমাদের চলমান ১২৯ মিলিয়ন ডলারের পোর্টফোলিও প্রমাণ করে যে, প্রতিষ্ঠান হিসেবে আলাপালার দক্ষতার ওপর সকলের আস্থা আছে। আলাপালার টার্নকি প্ল্যান্টগুলোর ক্ষেত্রে তিন বছরের ওয়ারেন্টি প্রদান করে, যা এই খাতের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই উদ্যোগটি কোম্পানি প্রদত্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ও অটোমেশন সমাধানের প্রতি অটল আস্থার প্রতিফলন।

গোরকেম আলাপালা আরও বলেন, এই ওয়ারেন্টির মাধ্যমে আমরা তিন বছরের জন্য সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতা ও সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আলাপালা কেবল প্ল্যান্ট তৈরি করে দিচ্ছে না; বরং আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের ক্লায়েন্টদের জন্য আস্থা, উদ্ভাবন ও শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করছি। উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে, আলাপালা শস্য, ফিড ও পাস্তা প্রক্রিয়াকরণের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।