লিওনেল মেসির সমৃদ্ধ সাফল্যের ঝুলিতে যুক্ত হলো নতুন অর্জন। ইন্টার মায়ামির হয়ে এমএলএস কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মৌসুমজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করা ফরোয়ার্ড ফাইনালেও জ্বলে উঠলেন। নিজে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া অ্যাসিস্ট করে রাখলেন বড় অবদান।
রোববার ভোরে ফ্লোরিডার চেইস স্টেডিয়ামে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মায়ামি। ২০২৩ সালের জুলাইতে যোগ দেওয়ার পর ক্লাবটির হয়ে মেসির এটি তৃতীয় শিরোপা। এর আগে লিগস কাপ ও সাপোর্টারস শিল্ড জিতেছিলেন। তিনি নাম লেখানোর আগে কোনো ট্রফি ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতা ছিল না ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মায়ামির।
শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ৭০ মিনিট পর্যন্ত ছিল ১-১ সমতা। এরপর ৭১তম মিনিটে রদ্রিগো দি পল ও দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে তাদেও আয়েন্দের গোলের উৎস ছিলেন মেসি। সব মিলিয়ে তিনি পেলেন ৪৭তম শিরোপার স্বাদ।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে মেসি বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি এমএলএসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আর আজ আমরা এমএলএস চ্যাম্পিয়ন। আমরা এবার (কনকাকাফ) চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালেও পৌঁছেছিলাম। গত বছর আমরা লিগস কাপ থেকে আগেই বাদ পড়েছিলাম এবং (এমএলএস কাপ প্লে-অফের) প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে গিয়েছিলাম। তাই এই বছর এমএলএস জেতা ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্যের একটি।’
গৌরবময় অভিযানের পথে ৩৮ বছর বয়সী মেসি ছিলেন অবিশ্বাস্য। প্লে-অফে মোট ছয় ম্যাচ খেলে ১৫ গোলে ভূমিকা রাখেন তিনি, যা এমএলএস কাপের কোনো মৌসুমে কারও সর্বোচ্চ গোলে অবদানের কীর্তি। রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা নিজে ৬ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান ৯ গোল।
এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা দুবার ‘এমভিপি’ (সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়) হওয়ার পথে থাকা মেসি যোগ করেন, ‘গোটা দল বিশাল পরিশ্রম করেছে। এটি ছিল খুব দীর্ঘ একটি বছর, অনেক ম্যাচ ছিল এবং সারা মৌসুম আমরা নিজেদের দায়িত্বটা ঠিকভাবে পালন করেছি। এই মুহূর্তটির জন্যই— আমি অপেক্ষা করছিলাম, দল হিসেবেও সবাই অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের জন্য এটি দারুণ এক অনুভূতি।’
মায়ামির কোচ ও মেসির সাবেক সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, ‘আমি খুব খুশি, কারণ সে (মেসি) যে মৌসুমটা খেলেছে তা অসাধারণ।… তার জন্য এই ট্রফি জেতাটা খুবই বিশেষ আর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সে এই ট্রফি জিততেই এখানে এসেছে।’
