বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের মৃত্যুদিন ৭ ডিসেম্বরকে ঘিরে তাকে স্মরণ করলেন তার সহশিল্পীরা।
প্রায় ৮০০ সিনেমায় অভিনয় করা এই গুণী শিল্পীকে রোজিনা, ববিতা ও তারিক আনাম খান ‘বড় মাপের অভিনেতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
বাংলা সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান খলিল। তার প্রথম সিনেমা ‘সোনার কাজল’।
‘গুন্ডা’ ছবির জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০১২ সালে আজীবন সম্মাননাও অর্জন করেন।
বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি উর্দু সিনেমা ও টেলিভিশন নাটকেও সমান সফল ছিলেন তিনি। ‘সংশপ্তক’ ধারাবাহিকের ফেলু মিয়া চরিত্রে তার অভিনয় এখনো দর্শকের মনে দাগ কেটে আছে।
খলিল প্রথম ছবিতে ছিলেন নায়ক। পরিচালনা করেছেন ‘ভাওয়ালা সন্ন্যাসী’নামে একটি সিনেমাও। আর প্রযোজনা করেছেন ‘সিপাহী’ ও ‘এই ঘর এই সংসার’। তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর খলিল উল্লাহ খান মারা যান। তার মৃত্যুদিনে সহশিল্পীরা স্মরণ করছেন তার অবদান ও শিল্পপ্রেমী জীবন।
খ্যাতনামা চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন,’ খলিল ভাই ছিলেন মজার মানুষ। সিনেমা ছাড়া কিছুই ভাবতেন না। ঢাকাই সিনেমায় তার অবদান অনেক। তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ শিল্পী। এমন অভিনেতা আর আসবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে তাকে খুব গম্ভীর মনে হতো। পরে বুঝলাম তিনি অত্যন্ত সহজ–সরল মানুষ। ছোটদের স্নেহ করতেন, বড়দের সম্মান দিতেন। আমাকে খুব আপন করে নিয়েছিলেন।’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা বলেন, ‘খলিল সাহেবের অভিনয় এখনো মানুষ মনে রেখেছে। তিনি এমন অভিনয় করতেন, যা দর্শকের মনে দাগ কেটে যেত।’
অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘আমাদের কিশোর বয়সের নায়ক ছিলেন তিনি। দুইটি নাটকে আমাদের একসঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল। খুব আড্ডাপ্রিয় ও আপন করে নেওয়ার মতো মানুষ ছিলেন তিনি।’
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ফকির মজনু শাহ, মিন্টু আমার নাম, মেঘের পরে মেঘ, বউ কথা কও, নদের চাঁদ, মধুমতি, আয়না, ভাই ভাই, সোনার চেয়ে দামী, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও আলোর মিছিলসহ আরও অনেক কাজ।
