সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত শুরু করার সময় দুদক কখনো কোনো ব্যক্তির পরিচয় বিবেচনা করে না।’
অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতাই মূল বিষয় বলে জানান তিনি।
দুদক জানায়, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আবদুল হামিদ ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকার নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের প্রায় ২৪ কোটি টাকার ক্ষতিসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, নিকুঞ্জ এলাকার লেক ড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে হামিদের একটি তিনতলা বাড়ি আছে। রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৩ সালের এপ্রিলে পরিবারসহ ওই বাড়িতে থাকা শুরু করেন আবদুল হামিদ।
বাড়ির উভয় পাশে ওয়াক-ইন ব্যারিকেড, ডেক, ঝুলন্ত সেতু এবং বাড়ি সংলগ্ন খালের ধারে ল্যাম্পপোস্ট নির্মাণে রাষ্ট্রের বড় অংকের অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত ১৬ নভেম্বর আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
