ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আজ শনিবার হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও ও এডিটর-ইন-চিফ রাহুল কনওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
রাহুল কনওয়াল জানতে চান—শেখ হাসিনা কি যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারবেন? জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা ভিন্ন বিষয়। তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তার নিজেকেই নিতে হবে।’
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে এবং সম্প্রতি রায় ঘোষণার পর ভারতকে চিঠি দিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ অনুরোধ বিবেচনা করবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়েন প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে ভারত।’
বাংলাদেশের আগের নির্বাচনী পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যা শুনেছি, তা হলো—বাংলাদেশে এখন যারা ক্ষমতায় আছে, তারা আগের নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। যদি এটিই সমস্যা হয়, তাহলে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।’
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য আমাদের শুভকামনা। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা আরেকটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ইচ্ছার প্রতিষ্ঠা দেখতে চাই।’
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
‘আমি নিশ্চিত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে ফলাফলই আসুক না কেন, তা দুই দেশের সম্পর্কে একটা ভারসাম্য আনবে এবং আশা করি পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে,’ বলেন জয়শঙ্কর।
