১৯৯৮ সালের পর আবারও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-মরক্কো। তবে ১৯৯৮ সালের মরক্কোর সঙ্গে যে বর্তমান দলটির তফাৎ আছে তা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন দলটির কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই। ব্রাজিলকে টুর্নামেন্টের ফেভারিট মানলেও নিজেদেরই একই কাতারে রেখে টক্কর দেওয়ার হুঙ্কার দিচ্ছেন তিনি।
২০২৬ বিশ্বকাপের ড্রতে ব্রাজিল সঙ্গে ‘সি’ গ্রুপে স্কটল্যান্ড ও হাইতিকে প্রতিপক্ষ পেয়েছে মরক্কো। স্বাভাবিকভাবে ব্রাজিল-মরক্কো লড়াই গ্রুপের সবচেয়ে আলোচিত হওয়ার কথা।
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই যাত্রা শুরু করতে হবে মরক্কোকে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত তার দল—এমনটাই জানালেন রেগরাগুই। তিনি বলছেন, কাজটা যতই কঠিন হোক, মরক্কো ভয় পাচ্ছে না।
২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে দারুণ চমক দিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় মরক্কো। সেইদিক থেকে নিজেদের একই কাতারে বিবেচনা করে এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুতেই খেলছি টুর্নামেন্টের এক ফেভারিটের বিপক্ষে। আর ওরাও শুরুতেই খেলছে আরেক ফেভারিটের বিপক্ষে।’
প্রতিপক্ষের গুণমানও স্বীকার করলেন রেগরাগুই। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল মানেই ব্রাজিল।’ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এখন কার্লো আনচেলত্তির অধীনে খেলবে—যাকে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ বলে মনে করেন, ‘গ্রুপে সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী দল থাকলে, এবং প্রথম ম্যাচেই তাদের বিপক্ষে খেলতে হলে, সেটা কখনোই সহজ না। ওরা যেমন সেরা কোচদের একজনকে পেয়েছে, যার অভিজ্ঞতা অনেক—সে তাদের দলে আত্মবিশ্বাস এনে দেবে।’
তবুও মরক্কো কোচের চোখে আত্মবিশ্বাসই আসল শক্তি। তিনি জানালেন, তার দল লড়াই করবে শেষ পর্যন্ত, কারণ দেশের সমর্থকদের আস্থা ও প্রত্যাশা তারা বহন করছেন, ‘আমাদের সমর্থকদের গর্বিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচকে তিনি দেখছেন একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ হিসেবে—যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মরক্কোর উত্থান আরও উপরে তুলে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
