1 C
New York

গ্রেইভসের ডাবল সেঞ্চুরিতে বিশ্ব রেকর্ডের রোমাঞ্চ জাগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্র

লক্ষ্য ৫৩১, প্রথম ইনিংসে স্রেফ ১৬৭ রানে আটকে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বড় ব্যবধানে হারই তখন সম্ভাব্য বাস্তবতা। বিশাল লক্ষ্যে নড়বড়ে শুরুর পর অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখান শেই হোপ আর জাস্টিন গ্রেইভস। হোপে সেঞ্চুরি করে ফিরে গেলেও কেমার রোচকে নিয়ে আরেকটি প্রতিরোধের গল্প লিখলেন গ্রেইভস। রোমাঞ্চ জাগিয়ে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলল ক্যারিবিয়ানরা।

ক্রাইস্টচার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট হয়েছে ড্র। ৫৩১ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে ১৬৩.৩ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট ইতিহাসে ফলাফলের বাইরে গিয়ে দেখলে চতুর্থ ইনিংসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিলো ইংল্যান্ডের। ২১৮.২ ওভরে ৫ উইকেটে ৬৫৪ রান, ১৯৩৯ সালে যখন তারা রেকর্ডটি গড়ে তখনো টেস্টের নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিলো না, ম্যাচটি চলছিল ১২ দিন ধরে। জাহাজ ধরার তাড়ায় মাঝপথে শেষ হয় ম্যাচ।  পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পুঁজিই টেস্টে চতুর্থ ইনিংসের সর্বোচ্চ। 

এক পর্যায়ে নিজেদের গড়া (৪১৩) বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাসের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিলো না। তবে হোপ ১৪০ করে বিদায় নেওয়ার পর টেভিন ইমলাক দ্রুত ফিরে গেলে ভাবনায় বদল আনে সফরকারী দল। কেমার রোচকে নিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য খেলতে থাকেন গ্রেইভস।

সপ্তম উইকেটে ৪১০ বলে ১৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন গ্রেইভস-রোচ। নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন পেস অলরাউন্ডার গ্রেইভস। ৩৮৮ বলের ইনিংসে ১৯ চার মারেন তিনি।

ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে পেসার রোচ ২৩৩ বল সামলে অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ২৩১ রানের জবাবে মাত্র ১৬৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪৬৬ রান যোগ করে বিশাল লক্ষ্য দেয় কিউইরা। তাতে ভড়কে না গিয়ে ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান করে দেখায় ক্যারিবিয়ান দল। 

Related Articles

Latest Articles